কালিয়াকৈর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এই প্রথম শিক্ষার্থীসহ একই গ্রামের দুজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় চার গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আতঙ্কে আছেন স্থানীয় মানুষ।
করোনা আক্রান্তরা হলেন, উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের জাথালিয়া গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ আসলাম মিয়া (৩২) ও একই এলাকার মোঃ আব্দুল মিয়ার ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া (২০)। এদের মধ্যে রাসেল বড়ইবাড়ি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, আসলাম গত ৩ থেকে ৪ মাস আগে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন। পরে তিনি ও পাশের বাড়ির রাসেল একই সাথে চলাচল করেন। কিন্তু গত তিন দিন আগে তাদের জ্বর হলে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করেন এবং নমুনা পরিক্ষা করতে দেন। করোনাভাইরাস টেস্টে তাদের দুজনেরই পজেটিভ রিপোর্ট হয়। পরে সরকারি আইইডিসিআর হতে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জানতে পারে তাদের দুজনের করোনাভাইরাস টেস্টে রিপোর্ট পজেটিভ। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিনের নেতৃত্ব প্রশাসনের লোকজন ওই জাথালিয়া গ্রামে যান। এ সময় তাদের নিজ নিজ বাড়ির একটি কক্ষে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। একই সাথে ওই জাথালিয়া গ্রামসহ আশপাশের বংকুরি, সিঙ্গাপুর বাজার, ইটালি বাজার এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এছাড়া তাদের দুজনের সংস্পর্শে থাকা লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে গ্রামবাসীর নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলেও প্রশাসনের লোকজন জানিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রবীর কুমার জানান, আইইডিসিআর হতে করোনা ভাইরাস টেস্টের রিপোর্ট পজেটিভ জানালে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। হাসপাতালের একটি টিম সর্বক্ষণ পযবেক্ষণ করবেন। যদি বেশি খারাপ অবস্থা হয় তাহলে তাদের আইসোলেশনে নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন জানান, করোনা আক্রান্তের খবর পেয়ে ওই এলাকায় গিয়ে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া ওই গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আর তাদের সংস্পর্শে থাকা সবার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।